বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই ভারতের অঙ্গরাজ্য হবে"
এই পোস্টটি পড়ে আপনারা অনেকে মনে মনে আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন, আরে ভাই একটা দেশ দখল করা কি এত সহজ??
জ্বি ভাই, আমিও আপনাদের সাথে একমত।
একটা দেশ দখল করা এত সহজ না।
সহজ হলে অনেক আগেই তো দখল করে ফেলতো।
কঠিন বলেই ধীরেধীরে খুব কৌশলে এগোচ্ছে।
ইতিমধ্যে আপনারা অসংখ্য ইঙ্গিত পেয়ে গেছেন।
বাংলাদেশের জেলেদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইন্ডিয়ান জেলের মাছ ধরার সুযোগ করে দেয়া, ইন্ডিয়ার বিমান বন্দরের জন্য বাংলাদেশের কাছে জমি চাওয়া, চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেয়া, দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও মাত্র ১৫০কোটি টাকা খরচ করে ফারাক্কা বাঁধের পাশে আরেকটি বাঁধ না দেয়া, আমাদের দেশে গ্যাসের সংকট থাকা সত্ত্বেও ভারতকে গ্যাসের সংযোগ দেয়া, আমাদের দেশের ক্ষতি করে ফেনীর নদী থেকে পানি উত্তোলন করতে দেয়া।
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের "ইসকন" নিয়ে নির্মিত ভিডিওটা আশা করি সবাই দেখেছেন। ভারতের পরিকল্পনা মতে ২০২১সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পুরোপুরিভাবে হিন্দুদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাওয়া হবে।
অনেকে হয়তো বলবেন আমি সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছি।
আরে ভাই,
অসাম্প্রদায়িক অসাম্প্রদায়িক অসাম্প্রদায়িক আর কতকাল খুঁজবেন???
অসাম্প্রদায়িকতা খোঁজার আর টাইম নেই।
আমরা অসাম্প্রদায়িকতা খুঁজে যাচ্ছি আর তারা সাম্প্রদায়িকতার চাকায় প্রতিনিয়ত আমাদের পিষে মারছে।
যদি বেঁচে থাকতে চান তাহলে সাম্প্রদায়িক হোন।
পৃথিবীতে কোনো অসাম্প্রদায়িক দেশ নেই, কোনো জাতি নেই।
সবাই সাম্প্রদায়িক।
ভারতের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পুরোপুরি হিন্দুদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার প্রক্রিয়ার অনেকাংশ তারা ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন করে ফেলেছে।
এজন্য তারা প্রথমত যেটা টার্গেট করে তা হলো বাংলাদেশের শিক্ষাখাত এবং প্রশাসনিক খাত।
আজ থেকে ১০বছর আগের পাঠ্যবই আর এখন পাঠ্যবই মিলিয়ে দেখুন নিজেই বুঝতে পারবেন।
পাঠ্যবই থেকে বাংলাদেশের মুসলিম লেখকদের লেখা বাদ দিয়ে ভারতের হিন্দু লেখকদের লেখাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, এবং ধীরেধীরে এটি পুরোপুরি হিন্দু লেখকদের লেখা সমৃদ্ধ পাঠ্যবইয়ে পরিণত করা হবে, সরকারি সব বড়বড় পদে হিন্দুদের বসিয়ে দেয়া হবে, প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ জায়গায় হিন্দুদের বসিয়ে দেয়া হবে(ইতিমধ্যে হয়েছিল:- সুরেন্দ্র কুমার সিনহা), সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পদে হিন্দু নিয়োগ দেয়া হবে। আমি এখানে শুধুমাত্র একজনের নাম উল্লেখ করেছি, আর কারো নাম উল্লেখ করিনি, কারণ নাম লিখতে গেলে পোস্টটা লিখে শেষ করা যাবেনা। নিজেই একটু আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নিন, তাহলে দেখতে পাবেন।
একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে খুব কৌশলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য মন্দির ভাঙ্গা হবে, হিন্দুদের বাড়িতে হামলা করা হবে, আগুন লাগিয়ে দেয়া হবে। এবং বিশ্ববাসীকে এটা জানানো হবে যে বাংলাদেশে হিন্দুরা নিরাপদ নয়, বাংলাদেশ সরকার হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। তাই ভারত থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে এবং তারাই দেশকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
আজকের তারিখ দিয়ে ডাইরিতে লিখে রাখুন নাহয় আমার এই পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে রাখুন, আবারো বলছি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের অবস্থা কাশ্মীরের মত হতে চলেছে। বাংলাদেশের কপালে সত্যি খুব দুঃখ আছে।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী কিছুদিন আগে উনার ভাষণে বলেছেন, "জামায়াত যেটা ৪৫বছর আগে বুঝতে পেরেছিল আমাদের সেটা বুঝতে ৪৫বছর সময় লেগেছে"
বিদেশ থেকে আব্বু বারবার ফোন দিয়ে বলছে ফেইসবুকে উল্টাপাল্টা কিছু লিখিস না, দেশের পরিস্থিতি ভালোনা।
আমার মা-বাবার যত টেনশনের মূল কারণটা হচ্ছি আমি।
তিন ধরণের মানুষ আছে:-
১)এরা বিপদ এড়িয়ে চলে।
২)এদের কাছে বিপদ আসে।
৩)এরা বিপদকে টেনে আনে।
আমি হচ্ছি ওই তিন নাম্বার ক্যাটাগরির মানুষ।
ছোটবেলা থেকেই আমি এরকম।
চোখের সামনে কারো বিপদ দেখলে দাঁড়িয়ে থাকতে পারিনা। ফেইসবুকেও ঠিক একি অবস্থা, উল্টাপাল্টা কিছু দেখলে মুখ বুজে বসে থাকতে পারিনা।
ফলস্বরুপ, এই অল্প বয়সেই কত কিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে তার কোনো হিসাব নেই।
অসংখ্য আইডি হারিয়েছি, অসংখ্য মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, অসংখ্য বিপদের মুখোমুখি হতে হয়েছি।
আর আমার বিপদ মানেই তো পরিবারের বিপদ, তাই আব্বু-আম্মু আমাকে নিয়ে একটু বেশিই টেনশনে থাকে।
কিন্তু মানুষ সহজে তার অভ্যাস বদলাতে পারেনা, তাই আমিও এতকিছুর পরও আমার অভ্যাস বদলাতে পারিনি।
হয়তো আবরারের পর পরবর্তী লাশটা আমার হতে পারে, হয়তো আমার লাশটাও না পাওয়া যেতে পারে,,!!
#Collected..
#নীরব_দর্শক,,,,!!
No comments