- :-:ব্রেকিং নিউজ:-: -

-:-ব্রেকিং নিউজ-:----দৈনিক ঢাকা.২৪ অনলাইন নিউজ পোর্টালে ইউনিয়ন,উপজেলা,পৌরসভা,জেলা,মহানগর,বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রবাসী পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন। তার নাম ও ছবিসহ নিউজ প্রচার করা হবে।। DHAKA.24(দোহার নবাবগঞ্জ এর খবর)****অভিনন্দন নির্মল রঞ্জন গুহ সভাপতি, আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগ। আফজাল বাবু সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগ।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর আমাদের মাঝে নেই ???

✪ আপনি কাকে দায়ী করবেন???

হয়তো একদিন হঠাৎ করে শুনবো, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দুইবারের বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং ৯০ এর স্বৈরাচার পতন ঘটানোর মহানায়ক আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর আমাদের মাঝে নেই! দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে গিয়ে নব্য স্বৈরাচার কর্তৃক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলায় প্রহসনের বিচারে ও বিনা চিকিৎসায় কারান্তীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন! এই অপমান ও অপমৃত্যুর জন্য আপনি কাকে দায়ী করবেন??

১> আওয়ামী লীগকে?
২> আদালতকে?
৩> বিএনপিকে?
৪> দেশবাসীকে?

আপনার‌/ আপনাদের উত্তর হয়তো ১ অথবা ২ হবে! তবে আমার উত্তর হবে ৩। হ্যাঁ, দেশনেত্রীর মৃত্যুর জন্য বিএনপিই দায়ী! আর এই দায় ভারের ৭০% দায়ী কেন্দ্রীয় নেতৃত্ববৃন্দ, বাকী ৩০% তৃণমূল।

শত্রুর প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্যই থাকে শত্রুকে যেভাবেই হোক ঘায়েল করা, পর্যুদস্ত করা, বিনাশ করা। সেটা মারামারি করে হোক, কাটাকাটি করে হোক, হাত ধরে হোক, পা ধরে হোক, যে কৌশলেই হয় হোক। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ শতভাগ সফল হয়েছে। তাঁরা তাদের বুদ্ধিমত্তা ও কুট কৌশল প্রয়োগ করে আজ্ঞাবহ আদালত তৈরী করে দেশনেত্রীকে জেলে পুড়েছে এবং ধীরে ধীরে শত্রুকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে। যাদের উদ্দেশ্যই শত্রুকে শেষ করে দেয়া, তাদেরকে দায়ী করা নিশ্চয়ই সমুচিত নহে??

দেশবাসীকে দায়ী করাও মোটেও ঠিক হবে না! কারণ আমরা জানি, আমরা ইস্যু প্রিয় হুজুগে বাঙ্গালী। আমরা কোন কিছুর বিচার করার আগে কখনোই বিবেক বিবেচনা করি না! অন্যের মুখে যা শুনি তার উপরই একটা রায় দিয়ে ফেলি। তার উপরই আলোচনা সমালোচনায় মেতে উঠি। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে আওয়ামী লীগ। মিডিয়া পাড়াকে কাজে লাগিয়ে একটার পর একটা ইস্যু তৈরি করে দিয়ে বাঙালীকে তালের উপর রেখেছে এবং মিথ্যাটাকে সত্য বানিয়ে ফেলেছে। ফলাফল দেখুন, যে টাকার সাথে বেগম জিয়ার কোন সম্পর্কই নেই এবং যে টাকা এখনো ব্যাংকে গচ্ছিত আছে এবং তা সুদে আসলে ছয় গুন হয়েছে সেই টাকার জন্য দেশনেত্রী কারাবন্দী! অথচ, বাঙালির মুখে মুখে ছড়িয়ে গেছে বেগম জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে! কি অদ্ভুত ধারণা! যে মানুষটা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও দুই বারের বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন সেই মানুষটা কিনা মাত্র দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করবেন! হা হা হা...! যিনি চাইলে হাজার কোটি মেরে দিলেও কারো কিছু করার ছিল না সেই মানুষটা সামান্য দুই কোটি টাকা মেরে দিয়েছে, এই অদ্ভুত ও অভাবনীয় মিথ্যাটাও বাঙ্গালিকে খাইয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বাঙালী এমনই, এরা একটা ইস্যু পাইলেই হইছে! তাই এই অবুঝ, অবলা, আবাল, ইস্যু প্রিয় হুজুগে আর আচোদা বাঙালীকে দায়ী করার কোন ইচ্ছেই আমার নেই!

বাকী রইলো বিএনপি! বর্তমান বিএনপি আবার বহু ভাগে বিভক্ত! এক একজন নেতা, এক একজন শহীদ জিয়া! এক একজন ভাই, এক একজন তারেক জিয়া! এছাড়া পাড়া মহল্লা, অলি গলির বীর সৈনিকরা তো আছেই! তাই আর কেউ কারো ধার ধারে না। এই বিচ্ছিন্নতাই বিএনপিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তার উপর সহজ, সরল, সাদাসিধে, অবলা, ভীরু, কাপুরষ নেতৃত্ব দলকে আরও দূর্বল করে দিয়েছে। যদি এই বিচ্ছিন্নতা ও ভীরু নেতৃত্ব দূর করে ঐক্যবদ্ধ ও দূরদর্শী সাহসী নেতৃত্ব তৈরী করা যেতো, তাহলে শত্রুর সকল জাল ছিন্ন করে দেশনেত্রীকে মুক্তি করা সম্ভব হতো। হয়তো চাইলে সেটা এখনো সম্ভব। প্রয়োজন শুধু আমাদের সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। অন্যের সমালোচনা করার আগে আসুন নিজেদের দোষ গুলো আলোচনা করি এবং সমাধানের পথ বের করি। সময় খুবই কম।

যদি তা সম্ভব না হয় এবং নেত্রীর সত্যি সত্যি এমন মৃত্যু হয়, তাহলে তো দায়ী বিএনপিকেই করতে হয়, নাকি? আপনার অভিমত কি? আপনি কাকে দায়ী করবেন??

No comments

Powered by Blogger.