- :-:ব্রেকিং নিউজ:-: -

-:-ব্রেকিং নিউজ-:----দৈনিক ঢাকা.২৪ অনলাইন নিউজ পোর্টালে ইউনিয়ন,উপজেলা,পৌরসভা,জেলা,মহানগর,বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রবাসী পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন। তার নাম ও ছবিসহ নিউজ প্রচার করা হবে।। DHAKA.24(দোহার নবাবগঞ্জ এর খবর)****অভিনন্দন নির্মল রঞ্জন গুহ সভাপতি, আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগ। আফজাল বাবু সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগ।

ফিরে দেখা,,ইতিহাস..... #নন্দিত__গোলাম__আযম #নিন্দিত__গোলাম__আযম !!!

ফিরে দেখা,,ইতিহাস.....
#নন্দিত__গোলাম__আযম #নিন্দিত__গোলাম__আযম !!!

প্রসঙ্গ : ৯০ বছর বয়সে ৯১ বছরের সাজা ভোগকারি #অধ্যাপক_গোলাম_আযম!

লেখক: #জনাব_নুরুল_কবির।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নন্দিত এবং নিন্দিত একটি নাম #গোলাম_আযম। আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাকে চিনি না । খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ আমার হয়নি । তবে তার লেখা অনেক বই পড়েছি।

তার মেধার তুলনা তার বই । ছোটবেলা থেকেই আর নয় জন বাংলাদেশীর মত আমিও তাকে ঘৃণা করেই বড় হয়েছি হলুদ মিডিয়ার কল্যাণে। “আর নয়জন” বললাম একারনে দশজনের একজন তার বা তার আদর্শেরপক্ষে ছিল।

#ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা “#র” এর এক জরিপ ছিল এমন যে “শতকরা ২৫ জন জামায়াতের সমর্থক বাংলাদেশে” ২০০৯ এর পরে তাকে/ তাদের সম্পর্কে জানার সুযোগ হয় আমার। এখনও কম বেশী জানার চেষ্টা করছি। আমি সব সময় বিতর্কিত মানুষকে পছন্দ করতাম যারা দেশ ব্যাপি বিশ্ব ব্যাপি বিতর্কিত এমন সব লোক। আমার লজিক পৃথিবীর সব বহুল বিতর্কিত ব্যক্তিরাই ছিল জ্ঞানী, স্বরণীয়, বরণীয়।
সেটা #হিটলার থেকে #মুছোলিনী, #চেঙ্গিস_খান থেকে #নেপোলিয়ান, #শেখ_মুজিব থেকে #গোলাম__আযম। আজকের #বিষয়_গোলাম_আজম।

মেধাবী, চৌকস ও অভাবনীয় নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন ক্ষণজন্মা মানুষটি ১৯২২ সালে #ঢাকার_লক্ষ্মীবাজারে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে সম্পৃক্ত হন ছাত্র আন্দোলনের সাথে।

১৯৪৭-৪৮ ও ৪৮-৪৯ সালে পরপর দু’বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর জিএস (জেনারেল সেক্রেটারি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়ে পাকিস্তান সরকার ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়অংশ নিয়ে পাকিস্তান সরকার কারা নির্যাতিত হন। এই মহান নেতা ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। শেখ মুজিব কর্তৃক ৬৬ সালের ছয় দফা দাবি তৈরিতে অংশ নেয়া ২১ সদস্যের অন্যতম।

১৯৫০ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি #রংপুর_কারমাইকেল_কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৪ সালে যোগদান করেন #জামায়াতে_ইসলামীতে এবং প্রত্যক্ষভাবে শুরু করেন রাজনৈতিক জীবন।

অখিল-#পাকিস্তানে ১৯৫৫ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। কপ (কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি) পিডিএম (পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট) এর সেক্রেটারী জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ডাক (ডেমোক্রেটিক এ্যাকশন কমিটি) ইত্যাদি আন্দোলনে জনাব #শেখ_মুজিবুর_রহমানসহ অন্য সকল দলের নেতাদের সাথে অংশগ্রহণ করে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক কারণে ১৯৬৪ সালেও তাকে কারাবরণ করতে হয়েছিল ।

১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী #লিয়াকত_আলী_খান ঢাকায় আসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে ছাত্রদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তাকে ২৭ নবেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি সংবলিত একটি ঐতিহাসিক স্মারকলিপি প্রদান করা হয় যার নেতৃ্ত্ব দেন গোলাম আজম।
তার ছোট্ট একটা বর্ণনা দিলাম এ কারনে তার সত্য সম্পর্কে আমরা খুব কম জেনেছি। ৯১ বছর বয়সে ৯০ বছর সাজা পাওয়া এ মানুষটি সম্পর্কে জানা উচিৎ আমাদের নতুন প্রজন্মের। ৭১ এর মহান মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে তাকে সব
চেয়ে বিতর্কিত হতে হয়েছে। যারা ৪৭ এর দেশ ভাগ দেখেছে। দেখেছে বিশাল ভারতের নোংরামী। কিভাবে ছোট ছোট দেশ গুলোকে নপুংশুক এর মত গিলে খেতে (#উদা__স্বাধীনদেশ "#সিকিম") তাদের পক্ষে ৭১এ সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ছিল। ১৯৪ বছর ইংরেজদের কাছে পরাধীন থাকার পর যে মুসলিমরা আলাদা দেশ পেল সে দেশ আবার হাত ছাড়া হয়ে যাবে ,ভাগ হয়ে যাবে। এটা মানতে পারছিল না তারা। যেমন মানতে পারছিল না সদ্য পাওয়া নতুন দেশ পাকিস্তানের শাসকদের অত্যাচারও।

#ইন্দিরা_গান্ধিরা যখন বার বার এ কথা বলে বেড়ােতা সভা সমাবেশে "মাথার এক পাশে ব্যাথা থাকলে বাঁচা জায় কিন্তু মাথার দুই পাশে ব্যাথা নিয়ে ঘুমানো মুশকিল" ভারতের দুই পাশে দুই মুসলিম দেশ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান কে উদ্ধেশ্য করে ছিল এমন বক্তব্য তার জানাজা নামাজের দিন গিয়েছিলাম, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত একজন মানুষের এমন শোক মিছিল দেখে আমার মত অবাক হয়েছিল এ দেশের সকল গনমাধ্যম,বিশ্বমিডিয়া। বহুল বিতর্কিত ছিল তার অভিযোগ । ট্রায়াল দেয়া স্বাক্ষী। ৪৩ নাম্বার আসামির যদি ৯০ বছর সাজা হয় তাহলে বাকি ৪২ জনের নামও কেন জাতি জানেনা । নতুন প্রজন্মের কাছে আজীবন এটা কৌতুহল থেকে জাবে আ,লীগ সহ তার বিরোধীর কাছে । ২০১২ তে গোলাম আযম যুদ্ধাপরাধীর আসামি হলে । ৯৪ তে কিভাবে আ,লীগের কাছ থেকে মন্ত্রীর প্রস্তাব পাঠায়। কি ভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী #আবদুস_সাত্তার কে জায়নামাজ, তসবি দিয়ে কদমবুচি করতে পাঠায় খোদ দলীয় প্রধান #শেখ_হাসিনা। আরো অসংখ প্রশ্ন হয়তো মাথায় আসবে নতুনদের । যার উত্তর হয়তো কেউই দিবে না।

১৯৮০’র দশকে এবং ১৯৯০ সালে #এরশাদবিরোধী আন্দোলনে এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে #বিএনপি’র বিরুদ্ধে আন্দোলনে #জামায়াত ও #আওয়ামী_লীগ যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। একটি সুষ্ঠ পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য যখন কোন ফর্মুলাই কাজে আসছিল না।

তখন গোলাম আজম #কেয়ারটেকার_পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন । কিছুটা বিরোধীতা থাকলেও একটা পর্যায় সকলেই বলতে বাধ্য হন এর থেকে ভাল দ্বিতীয় কোন পথ নেই । দেশে বিদেশে উচ্ছসিত প্রসংশা পায় । যারা একটা সময় এক সাথে আন্দোলন
করে কেয়ারটোকার পদ্ধতি চালু করলেন আবার সেই তারাই তাদের স্বার্থে সেটার বিলুপ্তি করে দেন । যার খেসারত আজো দিচ্ছে বাংলাদেশ । যে গণতন্ত্র উত্তরণে ৯০-এ তার কেয়ারটেকার পদ্ধতি জাতিকে দিয়েছিল মুক্তির দিশা । কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছেনির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের পথিকৃত মনে করা হয় বাংলাদেশকে। এ ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ এক সময় বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগ এ ব্যবস্থার জন্য কৃতিত্ব দাবি করলেও এই দলটিই আবার ব্যবস্থাটি বাতিল করে দিয়েছে, যার জের ধরে বাংলাদেশ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

আওয়াম লীগ সরকার সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিলেও নেপাল, পাকিস্তান, তিউনিশিয়া সহ বহু দেশই এখন এ ব্যবস্থাকে গ্রহণ করেছে।

সর্বশেষ এই তালিকায় যোগ হচ্ছে তুরস্কের নাম। ড.মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর একটি লেখা পড়ছিলাম “যে দেশে গুণিদের কদর করতে জানেনা, সে দেশে গুণি জন্মে না।” ড. মুহাম্মদ শহিদু্ল্লাহ নেই কিন্তু তার কথা আছে। গোলাম আযম নেই তার দেখানো পদ্ধতিতে আজো সমাধান খুঁজে পায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।

#সংগৃহীত

No comments

Powered by Blogger.